সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া,নতুন মসজিদ ও গ্রামীন ব্যাংক রাস্তার মাথায় বালির ব্যবসা জমে উটেছে। ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র বালি রেখে মহাসড়কসহ একাধিক সড়ক উপসড়ক দখল করে নিয়েছে। সড়কের উপর বড় বড় ট্রাক,পিকআপভ্যান রেখে বালি উঠানোর ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে এসব স্থানে তীব্র যানজট লেগে যায়। যে কোনো সময় এ স্থানে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। যানজটের কারণে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মতো শিক্ষাপ্রতিষ্টানে যেতে পারছেনা। সড়কের পাশে বিশালাকারে স্তুপকৃত বালির পাহাড় থেকে বালি উড়ে পথচারী ও যানবাহনের চালক যাত্রীদের চোখে মুখে পড়ে। চোখে উড়ন্ত বালি পড়ায় তাদেরকে গাড়ি বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
স্থানীয়রা জানায়, কচ্ছপিয়া এলাকার বালি ব্যবসায়ীরা সড়ক ও সরকারি সম্পত্তি দখল করে রমরমা ব্যবসা করে গেলেও সংশিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ কেউ কিছু বলছেনা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।
প্রভাবশালীরা ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীত দিকের সড়কটি কেটে সমান করে সেখানে বালু উঠিয়ে রাখছে। বালির সাথে ওঠা পানি গড়িয়ে পড়ে সড়কের অপর পাশে যাচ্ছে। আর এ সকল পানির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করার সময় পানি ছিটকে গিয়ে মানুষের গায়ের জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি পানি গড়িয়ে গিয়ে সড়ক ভেঙ্গে দেবে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কজন সচেতন ব্যক্তি জানান, অনেক সময় গাড়িতে বালি ভর্তি করার সময় মূল সড়কের উপরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয় এবং বালি ভর্তিকৃত গাড়িগুলো সড়ক দখল করে দাঁড় করে রেখে গাড়ির স্টাফরা বালি ব্যবসায়ীদের সাথে চায়ের দোকানে বসে খোশগল্প করে। যার কারনে রীতিমত এসব এলাকায় বাড়ছে যানযট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি চালকরা জানান, বালি ব্যবসায়ীদের গাড়ি সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রায়শই সময় মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে এ স্থানে নানা দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। তারা আরো জানায়, প্রভাবশালী একটি মহলের মদদে বালি ব্যবসায়ীরা মহাসড়ক দখলে নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠকের মতামত: